Recents in Beach

How to encourage children to draw something?

ছবি আঁকা অর্থাৎ মনের ভাবনাকে চিত্রে প্রকাশ করা। সাধারনত আমরা যখন পেন্সিল, রং, তুলি ইত্যাদি সাহায্যে কোন পৃষ্ঠতলের উপর কিছু অঙ্কন করে থাকি তাহাই ছবি হিসেবে পরিচিতি পায়। সাধারনত এই ছবি যে অঙ্কন করে থাকেন তাকে চিত্রশিল্পী বলা হয়। ছবি আঁকা হয়তো সবার কাছে সহজ নয় । ছবি আঁকা হয়তো কারো কারো কাছে খুব সহজ আবার কারো কাছে খুব কঠিন বলে গণ্য হয়ে থাকে। ছবি আঁকতে গেলে কিছু গুণাবলী দরকার হয়ে থাকে হয়তো যা সবার মধ্যে থাকে না, হয়তোবা এই গুণাবলী কারো মধ্যে থাকলেও সেই ব্যক্তি তা জাগিয়ে তুলতে চাই না অথবা জাগিয়ে তুলতে পারে না। ছবি আঁকতে গেলে নিজেকে ইতিবাচক দিক এর সাথে মানিয়ে নিতে হবে এবং নেতিবাচক দিক কে বর্জন করতে হবে। কোন ব্যক্তি অথবা কোনো শিশু যাত্রা থেকেই বা শুরু থেকেই সুন্দর ছবি অংকন করতে পারে না। তাকে অনেক প্রচেষ্টা করতে হয়। একটি সুন্দর ছবি সাধারণত সেটি তার চিত্রশিল্পীর মনের জোর, ইতিবাচক দিক এবং তার প্রচেষ্টার ফল। ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র জলবিন্দু মিলে যেমন একটি বড়  জলাশয় তৈরি করে তেমনি ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র প্রচেষ্টা প্রতিদিন চালিয়ে গেলে অবশ্যই একদিন একটি সুন্দর ছবি আঁকা যাবে। মোটকথা একটি সুন্দর ছবি অংকন করতে গেলে নিজেকে অনেক চেষ্টা করতে হবে এবং মনের ভাবনা কে পরিষ্কার রাখতে হবে। আর তুমি কি আঁকতে চাইছ তা যেন অবশ্যই তোমার মনে পরিষ্কার থাকে কারণ তোমার মনের ভাবনা যদি পরিষ্কার থাকে তবেই তো তোমার ছবি পরিস্কার এবং তৃপ্তি পাবে, এবং লোকে দেখে ও সন্তুষ্টি পাবে।‌ তখনই তো তুমি বলতে পারবে যে এটা তোমার মনের ভাব এবং তোমার হাতের আঁকা।
   একজন শিশু যখন একটি ছবি যাত্রা করে শুরু করে অর্থাৎ সে যখন প্রথম ছবি আঁকা শুরু করে তখন তার ছবিটি হয়তো অতটা সুন্দর উন্নত হয়না তখন তা কিছুটা হয়তো বিকৃত হয়ে থাকে তখন এই ছবি দেখে পাশের অন্য একটি ব্যক্তি যখন বলে থাকে যে এটা কি এঁকেছিস তোর দ্বারা হবে না তখন সেই শিশুটি ওই ব্যক্তির নেতিবাচক দিকটি বেছে নেয় এবং নিজের ছবি আঁকা বন্ধ করে দেয় অর্থাৎ নিজের ইতিবাচক দিক এবং মনের জোরের কথা ভুলে নেতিবাচক দিকটি বেছে নেই এবং ছবি আঁকা বন্ধ করে দেয়। এই ভাবেই অনেকেই যাত্রাপথে ছবি আঁকা বন্ধ করে দেয় অর্থাৎ ছবি আঁকতে ব্যর্থ হয়।
    তাইতো আমি বলি নেগেটিভ চিন্তা ভাবনা ছেড়ে নিজেকে positive ভাবতে শেখো এবং লোকের কথায় কান দেওয়া উচিত নয় । অবশ্যই লোকের কথায় কান দেয়া উচিত, তাদের কথায় যারা তোমার ভালো চাই এবং তোমাকে উৎসাহ দান করে । আর তাদের কথায় কখনোই কান দেবে না যারা তোমাকে ব্যর্থতার দিকে নিতে চায়। সব সময় চেষ্টা করে যাবে চেষ্টা ছাড়া কিছুই চলে না হয়তো তোমার চেষ্টার ফল একদিন তোমায় মিলবে।
হয়তো তোমার মনের পরিষ্কার ছবিটি তোমার চিত্রের মাধ্যমে তুমি পরিষ্কার করে তুলতে পারছো না অর্থাৎ সুন্দর করে আঁকতে পারছ না তার মানে এই নয় যে তুমি পরেও পারবে না, তোমাকে চেষ্টা করেই যেতে হবে চেষ্টা করতে করতে একদিন সুন্দর ছবি আঁকতে পারবে।
     আমি গার্ডিয়ান অর্থাৎ parents এর উদ্দেশ্যে বলব যে আপনারা সব সময় আপনার শিশুকে উৎসাহ প্রদান করবেন।



উদাহরণ স্বরূপ ধরুন উপরিউক্ত ছবিটি আপনার বাচ্চা অঙ্কন করেছে আসলে ও একটা মানুষ আঁকতে চেয়েছে। ওর কাছে  এটাই একটি সুস্থ সবল মানুষ বলে মনে হবে। ও ভাববে যে এটাই মানুষ,  এটার মধ্যেই আমাদের মত মানুষকে সে খুঁজে পাবে ‌। কিন্তু আপনার কাছে এই ছবিটি একটি বিকৃত ছবি বলে মনে হতে পারে অর্থাৎ আপনার কাছে এটা কোন মানুষ মনে হতে নাও পারে, যা বাচ্চাটির কাছে একটি মানুষ বলে মনে হয়েছিল। তাই বলে আপনি যদি ওকে উৎসাহ দান না করেন তাহলে সে নতুন শিখবে কি করে? তাইতো বলি ছোট বাচ্চারা যাই অংকন করুক না কেন আপনারা সব সময় তাকে উৎসাহ দান করবেন এবং বলবেন যে তোমার ছবিটি খুব সুন্দর হয়েছে যদিও আপনার কাছে তা বিকৃত বলে মনে হয়ে থাকে। আপনার এই একটি উৎসাহে সে আরো ছবি অংকন করতে উৎসাহী হবে এবং একদিন একটি বড় ছবি অঙ্কন করবে এবং সে একদিন চিত্রশিল্পী রূপে পরিচিতি পেতে পারে। তখন আপনি নিজেই নিজেকে সার্থক বলে মনে করবেন।


জানিনা আমি আপনাদের কতটা বুঝাতে পেরেছি। যদি কোন ভুল হয়ে থাকে তাহলে অবশ্যই ক্ষমা করে দেবেন!

Post a Comment

4 Comments